ছবি : পিক্সাবে
ওয়ারেন, ১৬ জুন : ভাষা ভেদে হয়তো শব্দ বদলায়, স্থান ভেদে বদলায় উচ্চারণও। কিন্তু বদলায় না রক্তের টান। আবার আমেরিকায় যাকে ‘ড্যাড’ বলা হয় বাংলায় তাকে বাবা। অর্থাৎ দেশ বা অঞ্চলভেদে ভাষাগত পার্থক্য থাকলেও ভাবগত অর্থ কিন্তু একই থাকে।
বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। অবশ্য বাবার জন্য বিশেষ দিন হিসেবে প্রতি বছর ‘বিশ্ব বাবা দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। আজ জুন মাসের তৃতীয় রবিবার, বিশ্ব বাবা দিবস। এ মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের প্রায় ৭৪টি দেশে পালিত হয় এই বাবা দিবস।
পিতা সন্তানের মাথার ওপর বটবৃক্ষের ছায়ার মতো, যার স্নেহ অবারিত ধারায় শুধু ঝরতেই থাকে। শিশু সন্তানের কচি হাতটি যখন বাবার হাতটি আঁকড়ে ধরে হাঁটতে থাকে তখন তাদের এ অটুট সম্পর্ক জানান দেয়। সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় বাবাকে। আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা। বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিমাপ করতেও পারে না। সেই বাবার প্রতি সম্মান জানাতে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।
ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতেও পিতৃ দিবসের আইডিয়া আসে। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে তিনি বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন এবং জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস নির্ধারণ করা হয়। বিশ্ব বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাকে সুপ্রভাত মিশিগানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan